ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কালবৈশাখি ঝড়ে লন্ডভন্ড বসতবাড়ি-ফসলি জমি

কালবৈশাখি ঝড়ে লন্ডভন্ড বসতবাড়ি-ফসলি জমি

লালমনিরহাটে কালবৈশাখি ঝড়ে কয়েকশ’ বসতবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ডসহ হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বয়ে যাওয়া ঘণ্টাব্যাপী এ কালবৈশাখি ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ওই ঝড়ে বজ্রপাতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। জানা যায়, এ কালবৈশাখি ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায়। ওই উপজেলার সিন্দুর্ণা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি ঝড়ে ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া তিস্তা তীরবর্তী ওইসব এলাকার উঠতি হাজার হাজার বিঘা জমির ভুট্টা ও ধানখেত নষ্ট হয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া তফসিলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারটি ক্লাসরুম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

সরকারি ও বেসরকারিভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছেন। এ ঝড়ে বজ্রপাতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

পারুলিয়া তফসিলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, এবারের কালবৈশাখি ঝড়ে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বসতবাড়ি লন্ডভন্ডসহ ভুট্টা ও ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে জরিপ করছেন। জরিপ শেষেই জানা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা জানান, তার কাছে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য এসেছে সেই তথ্যমতে শতাধিক বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতিসহ বেশ কিছু ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত