ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চিংড়ির রেণু নিধন

মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চিংড়ির রেণু নিধন

ভোলার চরফ্যাশনে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অবাধে নিধন হচ্ছে বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণু পোনা। উপজেলার ২০টি ঘাটে ভ্রাম্যমাণ জেলেরা পাঁচটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গলদা ও বাগদা রেণুর নিধনে ব্যস্ত। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কোন প্রতিরোধ তৎপরতা নেই। রেণু পোনা নিধনে ধ্বংস হচ্ছে ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। জেলেরা জানান, উপজেলার বাগদা ও গলদা রেণুর ৫ আড়ত মালিকদের অধীনে শতাধিক খুরচা পাইকার রয়েছে। পাইকারদের কাছে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা দাদন নিয়ে নদীতে রেণু পোনা শিকার করেন।

স্থানীয়রা জানান, নদীপাড়ের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। এ সুযোগে অসাধু চক্রের সিন্ডিকেট দাদনের ফাঁদে ফেলে জেলেদের দিয়ে রেণু পোনা শিকার করাচ্ছেন। সংগ্রহ করা পোনা পাইকারদের মাধ্যমে রাতের আঁধারে পাঠানো হয় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটে। একাধিক সূত্র জানায়, ১০০টি পোনার দাম ২০-৩০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি আড়তের অধীনে ২০ থেকে ২৫ জন জেলে কাজ করেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও কিশোর। এতে শুধু বাগদা-গলদাই নয়, অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনাও ধ্বংস হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি।

মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার পাড়ে দেখা যায়, জেলেরা টংঘরে বসে জাল ফেলে পোনা ধরছেন, পাইকাররা সেই পোনা ব্যারেলে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন আড়তে। আড়তদাররা আবার রাতের আঁধারে এসব পোনা বিভিন্ন জেলায় পাচার করছেন। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। জাল পুড়িয়েও জেলেদের রোখা যাচ্ছে না। ছোট ছোট জাল নিয়ে জেলেরা নদীতে বাগদা ও গলদা রেণু শিকারে নেমে পড়ে। তারা অভিযানে যাওয়ার আগে জেলেরা পালিয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান আরও ও জোরদার হবে। তিনি বলেন, মৎস্য বিভাগকে ম্যানেজ করা বিষয়টি সঠিক নয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, আমি মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত বাগদা ও গলদা রেণু শিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত