কিশোরগঞ্জে এলজিইডি’র তত্বাবধানে নির্মিত একটি সড়কের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ-তাড়াইল সড়কে সদর উপজেলার কলাপাড়া মোড় থেকে নীলগঞ্জ সীমানা পর্যন্ত নবনির্মিত সড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে কিশোরগঞ্জ-নীলগঞ্জ-তাড়াইল সড়কে নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও কাজের গুনগতমান বজায় না রাখার অভিযোগে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। কিশোরগঞ্জ-নীলগঞ্জ-তাড়াইল সড়কের কলাপাড়া মোড় থেকে নীলগঞ্জ এলাকা পর্যন্ত নির্মিত সড়কে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ দুদকের কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী এবং সদর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী সড়কের কার্পেটিং, মেকাডম ও ইট পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। দুদক টিমের সঙ্গে পরীক্ষা নিরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকোশলী আব্দুল্লাহ আল কবির সাংবাদিকদের বলেন, কিশোরগঞ্জ-নীলগঞ্জ-তাড়াইল সড়কের মেরামত কাজের ৪ কিলোমিটার ৩১০ মিটারের সড়কটির ৭৫ মিলিমিটারে মেকাডম থাকার কথা ছিলো সেটা ঠিক পেয়েছি। ৭৫ এর মধ্যে ৮৫ পেয়েছি। কার্পেটিং ছিল ৪০ মিলিমিটার সেটাও আমরা ৪০ মিলিমিটারই পেয়েছি। তাছাড়া এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে সেটাও এক নাম্বার ইট। সবমিলিয়ে কাজের গুণগতমান ভালো। কিশোরগঞ্জ দুদকের সহকারী পরিচালক ইশতিয়াদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এমন জানতে পেরে দুদক এই সড়কে অভিযানটি চালায়। আমরা এখানে এলজিইডির কাউকে না রেখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী মাধ্যমে সড়কের গুণগতমান পরীক্ষা করিয়েছি। সড়কটির বেশ কয়েকটি জায়গায় গুণগতমান পরীক্ষা করা হয়েছে। রাস্তার মেকাডম, কার্পেটিং ও ইট সবই প্রাক্কলন অনুযায়ী সঠিক পাওয়া গেছে। যে অভিযোগটি ছিল এটি সত্য নয়।
