ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভুট্টার বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

ভুট্টার বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

ভোলার লালমোহনে এবছর ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বিস্তীর্ণ মাঠে দৃষ্টি পড়লেই মনে হচ্ছে এ যেন ভুট্টার সাম্রাজ্য। জমিতে ফলন ভালো দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখেও। গত বছরের তুলনায় এবার এই উপজেলায় বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। প্রতি বছর ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ভুট্টা চাষে খরচ কম, ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেশি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহের জন্য প্রহর গুণছেন এ উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জনা গেছে, চলতি বছর এই উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। গত বছর যার পরিমাণ ছিল সাড়ে পাঁচশ হেক্টরের মতো। এর মধ্যেউ পজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের চাষিরা এ বছর সবচেয়ে বেশি ভুট্টার আবাদ করেছেন। আবাদকৃত জমিতে কহিনূর, হাইব্রিড ডন-১১১, লাকি-৭, হাইব্রিড উত্তরণসহ আরো কয়েকটি উন্নত জাতের ভুট্টা রয়েছে। বীজ রোপণের ১৪৫ দিনের মধ্যে চাষিরা তাদের জমি থেকে ভুট্টার ফলন সংগ্রহ করতে পারেন। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের ভেতরে উপজেলার চাষিরা তাদের খেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহ শেষ করবেন। প্রতি মণ ভুট্টা বাজারে পাইকারি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।

পশ্চিম চরউমেদ মাঝগ্রাম এলাকার চাষি মো. কামাল হোসেন জানান, এ বছর ৩৩ শতাংশ জমিতে কৃষি অফিসের প্রর্দশনীর আওতায় ভুট্টা চাষ করেছি। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জমিতে আশানুরূপ ফলন রয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যেই জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবো। এই ভুট্টা চাষে এবার প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আশা করছি ফলন সংগ্রহ শেষে অন্তত ৩৫ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো।

একই ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার ভুট্টা চাষি মো. মনজু জানান, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ভুট্টা চাষ করছেন। এ বছর ৩০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছে। পানির জন্য কিছুটা বেগ পেতে হলেও বর্তমানে খেতে ভালো ফলন রয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়াও ঠিক রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব জমির ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবো। এই ভুট্টা চাষে এবার জমি লিজ, বীজ-সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বাবৎ প্রায় ১ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। তবে আশা করছেন জমির সব ফলন সংগ্রহ শেষে অন্তত আড়াই লাখ টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভুট্টা চাষিদের বিনামূল্যে সার ও বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া কৃষকদের অনুকূলে থাকায় এবার এই উপজেলার চাষিরা ভুট্টার ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নিয়মিত এসব ভুট্টা চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাই আশা করছি এ বছর ভুট্টা চাষিরা ফলন সংগ্রহ করে আশানুরূপ লাভবান হবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত