বিএনপি যারা করে আমি আশা করব তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে; কিন্তু মনোমালিন্য মারামারি-কাটাকাটি থাকবে না। যদি থাকে তাহলে দলের বদনাম হবে। এটা করা যাবে না। একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে চলতে হবে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকাস্থ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে এই সরকারকে অবশ্যই একটি নির্বাচন দিতে হবে। সেখানে জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, আমাদের একটা সময় ছিল, তোমরা মিটিং করতে পারো নাই। সেই সময় দেশে যারা এনিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে তারা পালিয়ে গেছে। এখন আমাদের ধর্যধারণ করতে হবে। দেশে একটা রাজনীতিক পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনের সঙ্গে আমরা আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এখন ইউনিয়নে কমিটি হচ্ছে, ওয়ার্ডের কমিটি হয়েছে, নানা রকমের কথাবার্তা আসে। আমি কখনও ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে গিয়ে কমিটি করিনি। তবে তা করতে হবে আপনাদেরই। এটা শুধু তিতাসে না, দাউদকান্দিতেও হচ্ছে। আমাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে আছে, ওয়ার্ড কমিটি হবে, ওয়ার্ড কমিটির নেতারা কাউন্সিল করে ইউনিয়ন কমিটি করবে। ইউনিয়ন কমিটিগুলো মিলে উপজেলা কমিটি গঠন করবে। সেখানে ভুলত্রুটি হলে সেখানেই সমাধান করতে হবে। নতুন পুরাতন নেতাকর্মীদের মাঝে যাদের যোগ্য মনে করা হয়, তাদের নেতৃত্বে আনার জন্য আহ্বায়ন জানিয়ে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল থাকার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, তিতাস উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বিএনপির কমিটি গঠনে কাউন্সিল শেষ হয়েছে। গত ২৪ থেকে ২৮ এপ্রিল প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও প্রার্থীরা চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে উক্ত কাউন্সিলগুলোকে কেন্দ্র করে কলাকান্দি, নারান্দিয়া ও মজিদপুর ইউনিয়নের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন সরকার আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির ওই নেতার বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে যান। এর আগে সকাল ১০টায় তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন। তিতাস থেকে নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করার জন্য ভোর থেকে বিমানবন্দরে জড়ো হয়। সালাউদ্দিন সরকার উপস্থিত নেতাকর্মীদের নিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসভবনে যান।