ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও থানা পুলিশের ভবনের অনতিদূরেই ২৫ এপ্রিল রাতে হামলার শিকার হয়েছিলেন দৈনিক দেশ রূপান্তর ও বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন রুবেল। ঘটনার ১০ দিন পর ৫ মে তার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করে দিয়েছেন এক আসামি। বাবুল মিয়া নামে ওই ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (বিজয়নগর) এ মামলাটি করেন। মাঈনুদ্দিনের মামলার ৯ নম্বর আসামি হলেন বাবুল মিয়া। বিজয়নগর থানায় মামলা করার পর তিনিসহ একাধিক আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। মামলায় সাংবাদিক রুবেলের বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে হামলা ও হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। বাবুল মিয়ার দায়ের করা অভিযোগটি আমলে নিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) সংগ্রহ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিজয়নগর থানার ওসিকে নির্দেশ নিয়েছেন আদালত। আগামী ২ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেন আদালত।
এদিকে ঘটনার ১০ দিন পেরুলেও কোনো আসামি ধরা না পড়া ও উল্টো মামলা দায়ের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মাঈনুদ্দিন রুবেল। একইসঙ্গে তিনিসহ পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
মাইনুদ্দিন রুবেল বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলে বসবাস করে আসছেন। পেশাগত ও ব্যক্তিগত কাজে তিনি বিজয়নগর গিয়ে হামলার শিকার হন। রুবেল জানান, থানা থেকে একটু দূরে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে বহিষ্কৃত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়াসহ ৩০-৪০ জন হামলা চালায়। আব্দুল কাইয়ুমসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপজেলার সর্বত্র মাটি কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তারা ক্ষিপ্ত ছিলেন। এদিকে বাবুল মিয়ার দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২৫ এপ্রিল রাতে সাংবাদিক রুবেলের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় রুবেল দলবল নিয়ে বাবুল মিয়ার ভাই কাইয়ুম মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেন ও কয়েকজনকে আহত করেন।