রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে নওগাঁর বদলগাছী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাব চৌধুরী সাগরকেও পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার রাণীবাজার এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াদুদ খানের ছেলে এবং রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাব চৌধুরী সাগর ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত নেতা। গতকাল শুক্রবার ভোর ৪ দিকে উপজেলার চাকরাইল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় জানান, আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু চাকরাইল গ্রামের আব্দুল ওহাব চৌধুরী সাগরে আত্মীয়। সেই সুবাদে সাগরের বাড়িতে গত বুধবার রাতে টিটু গোপনে বেড়াতে আসে। এরপর গোপনে তাদের বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাড়ি ঘেরাও করে রাখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে গতকাল শুক্রবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
বদলগাছী থানার ওসি-তদন্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে চাকরাইল গ্রামে সাগর চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওয়াহেদ খান টিটুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ির মালিককেও হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হবে। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দুই হাতে পিস্তল নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ভাইরাল হওয়া সন্ত্রাসী জহিরুল হক রুবেলের বন্ধু আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু। রুবেলকে দিয়ে কিশোর গ্যাং লালন, জমি দখল ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করানোর অভিযোগও রয়েছে টিটুর বিরুদ্ধে। এসব কারণে লিটন মেয়র থাকাকালেই তাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। গত ৫ আগস্ট থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন টিটু। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা টিটু রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একজন কর্মকর্তা। ২০১৭ সালে জুনিয়র সেকশন অফিসার হিসাবে রুয়েটে যোগদান করেন তিনি। কিছুদিন অনিয়মিত অফিস করলেও ২০১৮ সালের জুনের পর আর একদিনও রুয়েটে তার কর্মস্থলে যাননি। যদিও গত পাঁচ বছর তিনি রুয়েট থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এই পাঁচ বছর ধরে টিটু রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে কাজ করছেন।