ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভোলায় মেঘনার ভাঙনে বসতবাড়ি-জমি বিলীন

ভোলায় মেঘনার ভাঙনে বসতবাড়ি-জমি বিলীন

উজানের পানির চাপে ভোলার মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে মাছ ঘাট, শত শত ঘরবাড়ি, বাজার ও মসজিদসহ বহু মাছের ঘের। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, নদীর ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি। বেড়ীবাঁধ ভেঙে গেলে অতি জোঁয়ার ও স্রোতে আমরা ভেসে যাবো। বর্তমানে বেড়ীবাঁধ থেকে নদী মাত্র ১শ’ ফুট দুরে রয়েছে। এটি অচিরেই ভেঙে যাবে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার শিবপুরের স্লুইচগেট পয়েন্টে যে মাছ ঘাট রয়েছে সেখান থেকে প্রায় ৫কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখন ভাঙন চলমান ররেছে। নদী ভাঙন রক্ষায় যে প্রকল্প পাঠিয়েছি তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা খাল সচল রাখতে খাল খনন ও প্রশস্থকরন এবং স্লুইজ গেইটটি আরও আধুনিক করতে ৬৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, তা পাশ হলে কাজ শুরু করা হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, শিবপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরবর্ত্তী। বেড়ী বাঁধ থেকে নদীর দুরত্ব ৬০ থেকে ৭০ মিটার। বর্তমানে এ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে আমরা সাময়িকভাবে ভাঙনরোধ করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হক। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে নদী ভাঙন সম্পূর্ণ রোধ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত