ঢাকা বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে

কেশবপুরে সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম অনেক বেড়ে গেছে, মাছের দামও চড়া। বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কম, যে কারণে বাড়ছে দাম। এখন প্রায় অধিকাংশ সবজি কিনতে কেজিপ্রতি গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আবার দাম বাড়ছে মাছেরও। ফলে বাজারে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা। তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও নানা ধরনের মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে। বর্তমানে আলুর দামে ক্রেতারা স্বস্তিতে আছে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা।

গতকাল কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখেন এমনটা। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গ্রীষ্মের মৌসুম পড়ছে। যে কারণে এ মাঝামাঝি সময়ে সবজির সরবরাহ কম। এতে প্রায় প্রতিটি সবজির কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে গত তিন-চার মাস সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে যে স্বস্তি ছিল, তা আর নেই। বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কেশবপুর শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

এরচেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৩০-৪০ টাকা কেজিতে। এদিকে করলা, বেগুন, বরবটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সবজি বিক্রেতা কাশেম বলেন, গ্রীষ্মের সবজি কেবল উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবছর সিজন চেঞ্জের এ সময়ে দাম বেশি থেকে। কিছুদিন গেলে আবার দাম কমবে।

এদিকে, মাছের বাজারেও বেশ চড়াভাব দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। এতে নদীর কিছু মাছের দাম বেড়েছে। কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই-কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা ও পাড়াশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা মাহবুর রহমান এবং ওয়দুদ বিশ্বাস বলেন, এখন চাষের মাছের সরবরাহ কম। এ কারণে নদীর মাছের চাহিদা বেড়েছে, দামও বেড়েছে।

অন্যদিকে, ঈদের পর থেকে চড়া পেঁয়াজের বাজার। এ সময়ে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে দাম। এখন বাড়তি দামে আটকে আছে। খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। তবে মাংসের বাজারে এখন অনেকটাই স্বস্তি আছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বাড়তে থাকে মাংসের দাম। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।

একইভাবে সোনালি জাতের মুরগির কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা। এখন ব্রয়লার ১৫০-১৬০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা দাম কমেছে গরুর মাংসেরও। ঈদের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। এখন তা কমে ৭৫০ টাকায় মিলছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ নিম্নমুখী থাকা ডিমের দামে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মাসখানেক ধরেই এ দামের আশপাশে রয়েছে ডিম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত