কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্কুলছাত্রী নিজ কন্যা সন্তানকে হত্যা করে বাবা-মা। পরে সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবা জাহিদুর ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহিদুল সদরের হলোখানা ইউনিয়নের কাগজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। হত্যার শিকার স্কুলছাত্রী জান্নাতি (১৫) জাহিদুল ইসলামের কন্যা।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ৩২ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জাহিদুল ইসলাম তার প্রতিপক্ষ মজিবরদের ফাঁসাতে পূর্ব পরিকল্পনা করে গত শনিবার গভীর রাতে তার স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীর সহযোগিতায় মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী নিজ কন্যা জান্নাতি খাতুনকে রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ভুট্টা খেতে ফেলে রাখে এবং খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে হত্যার ঘটনায় নিহতের চাচা খলিল হক (৫৫) বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।
এজাহার দায়েরের পর কুড়িগ্রাম থানার একটি টিম উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে জানতে পারে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ কন্যাকে হত্যা করে বাবা-মা।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার কুড়িগ্রাম থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার মূলরহস্য উদ্ঘাটনসহ মূল অভিযুক্ত নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম (৪৫) মা মোর্শেদা বেগম ও চাচি শাহিনুর বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে।
পরে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
