ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে কচু চাষে লাভবান কৃষক

সিরাজগঞ্জে কচু চাষে লাভবান কৃষক

সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক। অনেকেই কচু চাষে লাভবান হয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হেক্টর, তবে কৃষকদের আগ্রহে এই চাষ আরও বিস্তৃত হয়েছে। জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও সদর উপজেলার নিচু জমি, বাড়ির আঙিনা, পুকুরপাড়, পতিত ও কাদামাটি জমিতে ব্যাপকভাবে লতিরাজ বারি-১ ও কালা কচুসহ দেশীয় জাতের কচুচাষ হয়েছে। চাষিরা- যশোর, খুলনা, সাভার ও রংপুর থেকে উন্নত জাতের চারা এনে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রোপণ করেন। বিশেষ করে লতিরাজ বারি-১ ও কালা কচুচাষে সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করায় ফলন ভালো হয়েছে। এরইমধ্যে এসব কচুর লতা ও মূল স্থানীয় হাটবাজারে উঠেছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকরা সন্তুষ্ট। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ও সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার ৫ বিঘা জমিতে লতিরাজ ও কালা কচু চাষ করেছি। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। তিনি জানান, প্রথমদিকে লতিরাজের লতা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, বর্তমানে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লতিরাজের তুলনায় কালা কচুর ওজন বেশি- প্রতিটি কচু ১২ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরইমধ্যে কচুর বিক্রিও শুরু হয়েছে। জহুরুলের বাগানে কাজ করা নারী-পুরুষ দিনমজুররাও জানান, এই চাষে নিয়মিত কাজ পাওয়া যায়, আর আয়ও ভালো। চাষিরা জানান, কৃষি বিভাগের কাছ থেকে আরও নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেলে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, কম খরচে কচু চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে এবং কৃষি বিভাগ নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এবার ফলন খুবই ভালো হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত