ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পুষ্টি বাগান করে স্বাবলম্বী ভূরুঙ্গামারীর সুরমা বেগম

পুষ্টি বাগান করে স্বাবলম্বী ভূরুঙ্গামারীর সুরমা বেগম

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে পারিবারিক পতিত জমি এবং বসতবাড়ির আঙিনায় পুষ্টিবাগান গড়ে তুলেছেন সুরমা বেগম। গত মঙ্গলবার উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের শিংঝাড় ব্লকের কৃষানি সুরমা বেগমের বসতবিাড়র আঙিনায় পুষ্টিবাগানটি পরিদর্শন করতে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার। এই প্রকল্প সমৃদ্ধ করতে ভূরুঙ্গামারী কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কিষানি সুরমা বেগমকে তিন মৌসুমের বিভিন্ন জাতের বীজ, জৈব সারসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার, বাউন্ডারী বেড়া দেওয়ার জন্য নেট, সেচ দেওয়ার জন্য ঝরনা ও ছয়টি বিভিন্ন ফলের চারা বিতরণ করা হয়, এবং ফল বাগানটিকে সফল করে তুলতে আধুনিক কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা উদ্যোগীকে দেয়া হয়।

কৃষানি সুরমা বেগম জানান, আমার বসতবাড়ির পাশের জমিটি দীর্ঘদিন থেকে পতিত ছিল, কোনো শাকসবজি বা ফলের গাছ লাগাইনি। স্থানীয় ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব শহিদুল ইসলামের সু-পরামর্শে আমার বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন শাকসবজি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, মরিচ, লাল শাক, বাঁধাকপি, পালং শাক, মাচায় লাউ ও মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও এলাকার অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করেও বেশ কিছু টাকার সবজি বিক্রি করে অর্থ জমিয়েছি। এখন আমার প্রতিবেশিদের প্রতি সু-পরামর্শ হলো আমার মতো সবাই যদি বাড়ির বসতবাড়ির আঙ্গিনায় এরকম পুষ্টিবাগান স্থাপন করে তাহলে বাজার থেকে আর শাকসবজি কিনে খেতে হবে না। পতিত জমির এই বাগনই পারিবারিক পুষ্টি যোগান দিবে, এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবে এবং উদ্যোগী পরিবার অবশ্যই আমার ন্যায় আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি করে পুষ্টিবাগানের উপকরণ বিতরণ ও স্থাপন চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত