ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে ‘গ’ ক্যাটাগরি আবেদনের হিড়িক পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মিলছে আশানুরূপ সেবা। আবেদনকারীদের জটিল সমস্যার সমাধানে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের বিচক্ষণতার প্রমাণ মিলছে প্রতিটা আবেদনে। ‘গ’ ক্যাটাগরি আবেদনে যে সব সমস্যা গুলি প্রতিয়মান হয় তা হলো, পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হয় সন্তানের বিভিন্ন প্রয়োজনের জন্য। বিদেশ যাওয়ার জন্য বয়স সংশোধন, চতুর্থ শ্রেণির চাকরিজীবীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি থেকে সরকারি চাকরিতে আবেদনের জন্য। পৈত্রিক হিস্যা ওয়ারিশান দলিলের জন্য এনআইটি সংশোধন। এনআইডি বাতিলের জন্য রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের বাবা বানিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেয়া। বিদেশে চাকরি করার জন্য বয়স কমানোর আবেদন ইত্যাদি। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত্র আবেদন এখন থেকে আর ঢালাওভাবে নিষ্পত্তির জন্য বিবেচনা করছে না নির্বাচন অফিস।
এক্ষেত্রে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে আবেদনগুলো বিন্যাস করে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রমানিক বলেন ঢালাওভাবে বিবেচনায় নিলে আবেদন গুলি সমাধান করতে অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে। সরকারি চাকরিজীবীদের সার্ভিস বুক থাকে। তাই তাদের আবেদনের সত্যতা সহজেই যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আবার যারা প্রবাসী তাদেরও সংশ্লিষ্ট দেশের বৈধ কাগজপত্র ও পাসপোর্ট থাকে। এক্ষেত্রে আবেদনের চাহিত তথ্য আপডেট করতে যাচাইয়ের খুব একটা সময়ের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে সাধারণ নাগরিকদের অনেকের আবেদনেই নানা ধরনের অসততা থাকে। তাই আবেদনের ধরন প্রথমেই পৃথক করা গেলে নিষ্পত্তিতে সময় কম লাগে। সাধারণ নাগরিকদের আবেদনগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে। প্রয়োজন বোধ করলে সরজমিন তদন্ত করে। নাগরিক সেবা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা আবেদন গুলি নিষ্পত্তি করছি। সোমবার সাপ্তাহিক শুনানির দিন ধার্য থাকলেও। শুধুমাত্র জনগণের ভোগান্তি কমাতে সপ্তাহের প্রতিদিনই ৮০ থেকে ১০০টি আবেদন নিষ্পত্তি করছি। সোমবার শুনানির দিন প্রায়ই দুইশ’র বেশি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। আমরা আবেদনকারীর উপস্থিতি বিবেচনা করে অফিস আওয়ারের পরেও জনসেবা দিয়ে যাচ্ছি।