সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার স্বরূপপুর গ্রামে ইটভাটার চিমনির আগুনে কৃষকের প্রায় ২০০ বিঘা জমির ইরি বোরো ধান পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন কৃষি অফিসারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে এজিএন নামের ইটভাটার চিমনি দিয়ে আগুন বের হতে থাকে। এ আগুনে পুড়ে যায় ইটভাটার আশপাশের প্রায় ৯৭ জন কৃষকের ২০০ বিঘা জমির ধান। গত মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী হাজি অবৈধভাবে কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছেন। গত বছরও এ ইটভাটার চিমনির আগুনে কৃষকের ধান পুড়ে যায়। এ ঘটনায় আন্দোলনের মুখে কিছু সংখ্যক কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। এবারও একই ঘটনায় কৃষকদের জমির ধান পুড়ে গেছে। গত সোমবার রাতের ঘটনায় গতকাল বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ওই উপজেলা চত্বরে ভাটা মালিকের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, ওই এলাকায় ৯টি স্কিমের প্রায় ১৯৩ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২৩১.৬ টন ধান এবং প্রায় ১০০১ জন কৃষকের ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয় এরইমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইটভাটার চিমনির আগুনে কৃষকের ধান পুড়ে গেছে। এ মর্মে ক্ষতিগ্রস্থ’ কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা কৃষি অফিসার জেরিন আহম্মেদকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটির অন্য ২ জন সদস্য হলেন- বিএডিসির উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন ও কায়েমপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জনু। এ কমিটি এরইমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করছেন এবং আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।