সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর সোনারাম পূর্বপাড়া গ্রামে সেই কথিত ‘আয়নাঘর’ বাড়ির মালিক সুমন সেখকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং আলোচিত ওই কথিত আয়নাঘরের মালিক। এ ঘরে দুইজনকে বন্দি করে রাখার ঘটনায় আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। ডিবি পুলিশের এসআই নাজমুল হক জানান, বিশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার ফারুক হোসেনের দিকনির্দেশনায় বিশেষ অভিযানে গত সোমবার রাতে সদর উপজেলার বহুলী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত মঙ্গলবার তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (১) এর বিচারক আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। এ আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং ওইদিন সন্ধ্যায় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার পূর্ব পাইকড়া গ্রামের আব্দুল জুব্বার (৭৫) ও একই এলাকার লক্ষ্মী বিষ্ণু প্রসাদ গ্রামের শিল্পী বেগমকে (৪৮) সুমন সেখের বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয় এবং ১ মে গভীর রাতে নিজেদের চেষ্টায় তৈরি করা সুরঙ্গ দিয়ে তারা বন্দিশালা থেকে মুক্ত হন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক আরাফাত ও সুমনের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এদের মধ্যে জুব্বারকে ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর এবং শিল্পী বেগমকে ১২ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম মানসিক নির্যাতনও করা হয়। এ ঘটনায় একই এলাকার পশ্চিম লক্ষিকোলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আরাফাতসহ অনেকে এ ঘটনায় জড়িত। এ ঘটনার দিন বিকালে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইনকিলাব পত্রিকার রায়গঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন এবং এ ঘটনায় রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।