মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় কৃষকের মনে ফসল ঘরে তোলার আনন্দ, ধানখেত এখন পাকা সোনালি রঙে ভরে উঠেছে, উপজেলার ধান আবাদ করা কৃষি জমিগুলোতে চলছে ধান কাটার ধুম। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে চাষাবাদে খরচের পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। কৃষক রিফাত ঢালী জানান, এবার আমি ৩৫ শতাংশ জমিতে ধান আবাদ করেছি ধানের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। কিন্তু এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পানি সেচ দিতে হয়েছে, ব্যতিক্রম আবহাওয়ার কারণে নানা ধরনের রোগ-বালাই দেখা দেওয়ায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, ভিটামিন ও সার প্রয়োগ করতে হয়েছে এজন্য ধানের ফলন ভালো হলেও খরচের পরিমাণ একটু বেশি হয়েছে। এছাড়া তিনি আবাদকৃত জমির সম্পূর্ণ হিসাব তুলে ধরে জানান- আমার ৩৫ শতাংশ জমিতে খরচ করা খাতগুলো হলো- ধানের বীজ ১৭শ’ টাকা, ধান রোপণ ও ধান কাটার খরচ ১২ হাজার ১২০ টাকা, কীটনাশক ৪ হাজার টাকা, পুরো সিজনে পানি সেচ দেওয়ার জন্য ডিজেল লেগেছে ৪ হাজার টাকার, সার প্রয়োগ করা হয়েছে ২১শ’ টাকার, ধান মাড়াই করতে লেগেছে ২৫শ’ টাকা, চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত ও পানি সেচ বাবদ লেগেছে ৫ হাজার ২০০ টাকা, পুরো সিজনে আমার ৩৫ শতাংশ জমিতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ৩১ হাজার ৬২০ টাকা যা অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি, তবে ধান হয়েছে প্রায় ৩১ মণের মতো। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার জানান, এবার আবহাওয়া ধান চাষের জন্য ভালো ছিল, এই উপজেলায় এবার ২ হাজার ৫১৭ হেক্টর জমিতে নানা প্রজাতির ইরি ধান আবাদ করা হয়েছে যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ৮ হেক্টর বেশি। এছাড়া আমি ও আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ধানের খেত পরিদর্শন করে কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছি, এতে কৃষকদের খরচ অনেকাংশে কিছুটা কমেছে, আশাকরি আগামী বছর এই উপজেলায় ধান আবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছি ।