লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয় দেন নাসির আল ইমরান নামে এক যুবক। পেশায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী হলেও পরিচয় দিয়ে বেড়ান সমন্বয়ক হিসেবে। কখনো কখনও দেন জাতীয় নাগরিক কমিটি নেতার পরিচয়। সম্প্রতি রুবিনা আক্তার রুবি নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই বেসরকারি হাসপাতাল কর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সকালে একটি নম্বর থেকে কল করে এমনটি করেছে নাসির- বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। রায়পুর থানা, রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রায়পুর সেনা ক্যাম্পে একই অভিযোগের পৃথক তিনটি কপিতে শিক্ষিকা লিখেন, নাসির নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক দাবি করে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ওই শিক্ষিকা বলেন, আমার নামে মানববন্ধন হবে বলে জানিয়েছে নাসির। আমাকে নানান হুমকি-ধমকি দিয়েছে। মুঠোফোনে নাসির আল ইমরান বলেন, আমি তার বিরুদ্ধে থাকা কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে বলেছি। ছাত্ররা মানববন্ধন করবে বলে সতর্ক করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলছি। অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, এক কোচিং শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকার কর্মরত রায়পুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী, সেখানে সে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হতো। গত ১২ মে তাকে বিষন্ন অবস্থায় দেখলে শিক্ষিকা রুবি কী হয়েছে জানতে চান। পরে বিস্তারিত জেনে তার অভিভাবককে বিদ্যালয়ে ডাকা হয়।
অভিভাবক এসে শিক্ষকদের সহযোগিতায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এর জেরে শিক্ষক কোচিং শিক্ষকের পক্ষ হয়ে শিক্ষিকা রুবিনা আক্তার রুবিকে হুমকি দেয় নাসির আল ইমরান। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ভুঞা বলেন, নাসির আল ইমরান নামে একজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খাঁন বলেন, এক শিক্ষিকাকে হুমকি দিয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ পেয়েছি।