লাল, সাদা, হলুদ ও বেগুনি বাহারি রঙের ফুলে সজ্জিত সড়কের দুই ধারে যেন কেউ বিছিয়ে দিয়েছে ফুলের গালিচা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভিটিবিশারা থেকে শাহপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশ এখন রঙিন ফুলে মুখরিত। এই সৌন্দর্যে প্রতিদিন বিমোহিত হচ্ছেন শিক্ষার্থী, যাত্রী-চালক, পথচারীসহ অসংখ্য দর্শনার্থী। এই গ্রামীণ সড়কের দুই পাশ জুড়ে রোপণ করা হয়েছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুল, টগর, হৈমন্তি, কাঞ্চনসহ নানা দেশি-বিদেশি ফুলগাছ। গ্রীষ্মের প্রখর রোদেও চোখ ধাঁধানো এই ফুলগুলো নীরবে বিলাচ্ছে সৌন্দর্য। প্রকৃতির এই রূপে ক্লান্ত পথিকেরা পাচ্ছেন এক অনন্য প্রশান্তি।
চৈত্রের খরতাপ আর তপ্ত রোদের মাঝে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া কিংবা সোনালুর ঝুলন্ত থোকা যেন ফিরে এনেছে হারিয়ে যাওয়া প্রাণ। এ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলছেন, কেউবা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে উপভোগ করছেন প্রকৃতির অপার রূপ। পাঁচণ্ডছয় ফুট উচ্চতার ফুলগাছগুলোতে ঝুলে থাকা রঙিন পাপড়ি পথচারীদের দিচ্ছে অনাবিল প্রশান্তি। ফুলে সজ্জিত এই গাছগুলো যেন ভাষাহীন কণ্ঠে বলে, এই রাস্তা শুধু ইট-কংক্রিটের নয়, এটি ভালোবাসারও।
এই সড়কে যাতায়াতকারী কয়েস আহমেদ বেপারী বলেন, আসা-যাওয়ার পথে ফুলের সৌন্দর্য দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। কাজের ক্লান্তি ভুলে কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন আকাশ জানান, সাধারণত মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা গেলেও গ্রামীণ রাস্তায় এমন নয়। ভিটিবিশারা গ্রামের কৃতি সন্তান, সাবেক সচিব মো. খলিলুর রহমানের উদ্যোগে ২০১৮ সালে এই সড়কে ১৪০টি দেশি-বিদেশি ফুলগাছ রোপণ করা হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে গাছগুলোতে ফুল আসলেও এবার যেন প্রকৃতি তার পূর্ণ রূপে ধরা দিয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে মাস জুড়ে রাস্তার দু’পাশে ফুলের এই বাহার ছড়িয়ে দিচ্ছে অনন্য মুগ্ধতা।