ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আখাউড়ায় স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা, নববধূর স্বীকারোক্তি

আখাউড়ায় স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা, নববধূর স্বীকারোক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের মাত্র আটদিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে স্বামী মেহেদী হাসান (২৭) খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার মধ্যরাতে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে (১৭) আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জান্নাত আক্তার। মেহেদী হাসান মৃত জলফু মিয়ার ছেলে। তার পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। গত ২০/২৫ বছর ধরে মাকে নিয়ে মসজিদপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদি হাসানের সঙ্গে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী হাসান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ভোর রাতে নিহতের স্ত্রী বাড়ির মালিককে ডেকে বলে তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখে মেহেদী হাসান ঘরের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের আগ থেকেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জান্নাত আক্তারে। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। প্রেমের সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে হত্যা করেছে। নিহত মেহেদী হাসানের মা বকুল বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আট দিন হইছে আমার ছেলেরে বিয়ে করাইছি। অন্য ছেলের সঙ্গে বউয়ের প্রেম ছিল। সে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। বউয়ের ফাঁসি চাই। নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ছোট ভাই একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতো। সে খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। তার স্ত্রী ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বিয়ের আগে এক ছেলের সঙ্গে জান্নাত আক্তারের প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে সে তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না। গত রাতে স্বামীকে তার ঘুম আসছে না বলে স্বামীকে দিয়ে ঘুমের ট্যাবলেট আনায়। পরে কোকের সঙ্গে ৬টি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে স্বামীকে অচেতন করে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত