সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনায় পানি বাড়তে থাকায় অসময়ে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ফসলি জমি, ঘরবাড়িসহ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙনে অনেক গ্রাম এখন বিলীন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। উজানের ঢল ও দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর উপজেলার চরঠুটিয়া, মাকড়া, ধীতপুর, কুড়সী, বারপাখিয়া, বড় চামতারা, বানতিয়ার, বৃ-হাতকোড়া, মোহনপুর ও বেলকুচি উপজেলার মুলকান্দি এলাকায় এ ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। স্থানীয়রা জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙনে ইতোমধ্যে ফসলি জমি, বাড়িঘর, গাছপালা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ভাঙনকবলিত স্থান থেকে বাড়িঘর সরিয়ে অনত্র নিয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, চরাঞ্চলে এবার বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ হয়েছিল। তবে এ ভাঙনে সবকিছু নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরিভাবে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বিগত কয়েক বছরে শাহজাদপুরে যমুনা নদীর ভাঙনে তিন ইউনিয়নের প্রায় ২৮২ হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এবার ভাঙনে ইতোমধ্যে অনেক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড-কোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইন বলেন, উজানের কিছুটা ঢল ও বৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এ কারণে যমুনা নদীর তীরবর্তী উল্লেখিত এলাকার কয়েকটি স্থানে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।