কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাফিল উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের কাইয়ুম সরকারের স্ত্রী মোছাম্মৎ সেলিনা বেগম। একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে শোভা। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে সেলিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক। জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর জালাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে ভৈরব হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীকে কলেজের গেইটে দুষ্কৃতিকারীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন নিহত মোহাম্মদ আলীর পিতা শামছুদ্দিন বাদী হয়ে ভৈরব থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্তের সময় চার জনকে আটক করলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। পরে ২০০৮ সালের ৩০ মে ভৈরব থানার এসআই আ. আজিজ এদের চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর এক আসামির মৃত্যু হলে দীর্ঘ শুনানির পর আজ তিন জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন আদালত।