পাবনার ঈশ্বরদীতে বালুমহালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছয়জন। আহতদের দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাটের চরের বালুমহালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী লক্ষ্মীকুন্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন। আহতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রামের রেজাউল হক লালু, তালতলা এলাকার সানাউল্লাহ প্রামাণিক, রূপপুর তিন বটতলা এলাকার চপল হোসেন কালু, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম এলাকার মৃত জামবার আলীর ছেলে সেলিম আহমেদ, একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে সৈকত ইসলাম, গোলাপনগর গ্রামের রিপন হোসেন। এদের মধ্যে সেলিম ও সৈকতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া অংশের বালুমহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক। অন্যদিকে নাটোরের লালপুর চরের বালুমহালের ইজারা পান মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বালু উত্তোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে জড়ায় এই দুই পক্ষ। এসময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বালুমহালের সাঁড়া অংশের ইজারাদার যুবদল নেতা সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, গতকাল সকালে বালু উত্তোলনের জন্য আমাদের লোক নৌকা নিয়ে বালুমহালে যায়। এসময় তিনটি নৌকায় করে এসে সন্ত্রাসীরা আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তখন ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন, আর বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে মোবাইলে লালপুর চরের বালুমহালের ইজারাদার শহিদুল ইসলামের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।