মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এই প্রথম কৃষকের মাঠে ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৫ চাষ হচ্ছে। ব্রি ধান ১০৫ এর ভালো ফলন দেখে আশাবাদী এই উপজেলার কৃষকরা। উপকারী এই ধানের আবাদ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম ১ একর জমিতে ব্রি জাতের ধান ১০৫ এই প্রথম চাষ করেছেন। এতে আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় খুশি এই কৃষক। গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত বিন সিদ্দিক জানান ব্রি ধান ১০৫ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি। একটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন ডায়াবেটিক ধান এটা। এর আন্তর্জাতিক ভ্যালু ৫৫ ভাগের কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এ ধানের চালের ভাত নিরাপদ।
সাধারণ ধানে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জি আই) ৮৫ যা ডায়াবেটিক রোগিদের জন্য ক্ষতিকর। তবে আগামীতে এই বীজ সব কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে। দেশে যে ভাবে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে তাদের জন্য এই ধানের চাল স্বাস্থ্যবান্ধব। ডায়াবেটিক রোগীরা অনেকে সময় ভাত খেতে চাইলেও ভাত খেতে পারেন না তারা এই চালের ভাত খেতে পারবে এতে করে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ব্রি জাতের ধান ১০৫ চাষ করা রবিউল ইসলাম বলেন, এই ধানটি এই প্রথম আমি ১ একর জমিতে আবাদ করেছি। তবে ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ দশমিক ৭৫ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৫ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন।