ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রায়পুরায় জনবলের অভাবে চালু হচ্ছে না মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র

রায়পুরায় জনবলের অভাবে চালু হচ্ছে না মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র

স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নে ‘মরজাল ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র’। নির্মাণকাজ শেষে হস্তান্তরের ৮/৯মাস পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় গ্রামের নারী ও শিশুসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সেবা প্রত্যাশীরা কাঙ্ক্ষিত জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, ১টি পৌরসভা ও ২৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রায়পুরা উপজেলা। এখানে ৬ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য রয়েছে একটি মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এরই মধ্যে গত বছর উপজেলার মরজাল ইউনিয়নে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে স্থাপন করা হয়েছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র নামে একটি দৃষ্টি নন্দন হাসপাতাল। কল্যাণকেন্দ্রে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন আধুনিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে স্থাপন করা হয়েছে উন্নতমানে জেনারেটর। ভেতরে রয়েছে সুন্দর পরিবেশে রোগীদের থাকার বেড, এসি, সিলিং ফ্যানসহ প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা। পাশে রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য তিনতলা বিশিষ্ট সুন্দর কোয়াটার। প্রাকৃতিক ও নিরিবিলি পরিবেশে এটি স্থাপনের ফলে মা ও শিশু কল্যাণ সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে আশার আলোর সঞ্চার হয়েছে। দেখছে হাতে নাগালে সেবা পাওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু কেন্দ্রটি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মাণকাজ শেষে হস্তান্তর করা হলেও আজও নিয়োগ দেওয়া হয়নি জনবল। ফলে চালু হয়নি চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। জনবল নিয়োগ না হওয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র ব্যবহারের আগেই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগ না দিলেও ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র্রের জন্য একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনী ল্যাব সরঞ্জাম ও জনবল না থাকায় তিনিও বসে বসে অলস সময় পার করছেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আরজিনা আক্তার বলেন, দ্রুত জনবল নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করা হলে এখানকার নারী ও শিশুরা কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাবে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। মরজাল ইউনিয়ন পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রের পাশেই স্থাপিত হয়েছে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। তাই একই কেন্দ্রে অফিস করছেন পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) ডা. আব্দুল মতিন ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রমিজ উদ্দিন। তারা জানালেন, এমনিতেই দিন দিন চিকিৎসাসেবার মান বুদ্ধি পাচ্ছে। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি চালু হলে কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতসহ সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

রায়পুরা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিকুনা আক্তার বলেন, আমি যোগদানের পর জানতে পারি তৎকালিন কর্মকর্তা দায়িত্ব বুঝে নেন। কেন্দ্রটিতে এখনো পুরোপুরি জনবল পদায়ন করা হয়নি এবং কেন্দ্রটি চালু হয়নি। ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র্রটি চালু হলে মরজাল ইউনিয়নসহ আশপাশে এলাকার সাধারণ মানুষ মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা পাবে। বিষয়টি আমার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত