অনলাইন জুয়ার ভয়াল থাবায় নিঃস্ব হয়ে পড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের শত শত পরিবার। কেউ কেউ লাভের আশায় জমি-জমা বিক্রি করেছেন, কেউ আবার ঋণের দায়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
দ্রুত ধনী হওয়ার প্রলোভনে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সম্প্রতি অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করে মামলা দিয়েছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এছাড়াও এ জুয়া পরিচালনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন একাধিক প্রভাবশালী স্থানীয় নেতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো চটকদার বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম।
অল্প পুঁজি খাটিয়ে কয়েকগুণ লাভ এই স্বপ্নেই উঠতি বয়সের যুবকরা ঝুঁকে পড়ছে অনলাইন বেটিং বা জুয়ার ফাঁদে। শংপাড়া গ্রামের রাকিব ইসলাম বলেন, জুয়ার কারণে সংসার ভেঙে যাচ্ছে, অনেকে আত্মহত্যা করছে, কেউ কেউ এলাকা ছাড়ছে। বিদেশেও চলে যাচ্ছে দেশের টাকা। সরকার বড় ধরনের পদক্ষেপ না নিলে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শামসুল ইসলাম বলেন, জুয়া একটা নেশা। কেউ জেতে, কেউ হারে। প্রথমে ৫ হাজার দিয়ে শুরু করে ১০ হাজার পায়, তারপর ২০ হাজার, পরে ৫০ হাজার। এভাবেই লাভের আশায় সর্বস্ব খোয়ায় মানুষ। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বলেন, অনলাইন জুয়া শুধু এখানে নয়, পুরো জেলাজুড়ে চলছে। কে কী করছে, সক্রিয়ভাবে আমরা জানি না। আলোচনাটা শুধু আমাদের গ্রাম বা ইউনিয়নে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, এটা এখন জাতীয় সমস্যা। ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, অনলাইন জুয়ার কারণে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। পারিবারিক কলহ বাড়ছে। যারা এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা, তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ কাজ করছে। ধাপে ধাপে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
