ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কাউখালী লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড়

কাউখালী লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড়

পবিত্র ঈদুল আজহার নয়-দশ দিন ঈদের আনন্দ উপভোগ শেষে কর্মস্থলে ছুটতে শুরু করেছে গ্রামের টানে ঈদে বাড়িতে আসা মানুষ। গতকাল শনিবার কাউখালী থেকে বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরতে গাড়িতে সিট না পেয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন যাত্যরিা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর গাড়ি চলাচল শুরু করলে দক্ষিণ অঞ্চলের লঞ্চঘাট গুলো যাত্রী ও লঞ্চ শূন্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু দুই তিন বছর পর আবার ঈদুল আজহার ঈদ শেষে গাড়িতে ছিট না পেয়ে কাউখালী লঞ্চঘাট থেকে শত শত যাত্রী অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে লঞ্চে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা, চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটতে শুরু করেতে দেখা গেল। গত শুক্রবার বিকালে কাউখালী লঞ্চ স্টেশনে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ শতাধিক যাত্রী ঘাট থেকে না নিয়েই চলে গেছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চে উঠতে না পার হাফিজা বেগম, তাসনিম জাহান, রুপা, আসমা বেগম, সাইফুলসহ কয়েকজন যাত্রী। গতকাল শনিবার গত দিনের চেয়ে যাত্রী চাপ একটু কম হলেও উপস্থিত সব যাত্রী লঞ্চে উঠতে পারে নাই। যেখানে এক সময় কাউখালী লঞ্চ ঘাট থেকে ৬ থেকে ৭টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত সেখানে বর্তমানে ঈদ আসলে শুধু একটি অথবা দুইটি লঞ্চ ভান্ডারিয়া- হুলারহাট থেকে ছেড়ে এসে ঢাকাগামী যাত্রীদের কাউখালী লঞ্চঘাট থেকে নিয়ে ছেড়ে যায়।

তবে আজকে শুধু একটি লঞ্চ থাকায় যাত্রীরা চরম বিবেকে পড়েছে। ভয়ে ভয়ে অনেক যাত্রী লঞ্চে উঠলেও অনেকে আজও আবার ফিরে গেছেন বাড়িতে। লঞ্চ কম থাকার কারণ হিসেবে জানা গেছে ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়া হুলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসলে লঞ্চের যে খরচা হয় তা আয় হয় না। ফলে লোকসান গুনতে হয় লঞ্চ মালিকদের। যে কারণে একটি বা দুটি লঞ্চের বেশি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে না।

গতকাল শনিবার বিকাল তিনটায় ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ এমডি রাজদূত প্রাইম হুলারহাট স্টেশনে যাত্রী উঠে লঞ্চ ভর্তি হয়ে যায়। এরপর অতিরিক্ত বোঝাই নিয়ে কাউখালী লঞ্চ স্টেশন ছেড়েছে। এই স্টেশনের পর ঢাকা যেতে সামনে আরও আট/দশটি যাত্রী ওঠার স্টেশন রয়েছে। এগুলো হলোস্বরূপকাঠি, ইন্দারহাট, বানারীপাড়া, মিরারহাট, চৌধুরীরহাট, শিকারপুর, ভাঙ্গার মোড়, মুলাদীসহ ছোট বড় স্টেশনেও শত শত যাত্রী লঞ্চে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে যানা গেছে।

ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের কাউখালী ঘাট সুপারভাইজার মোহাম্মদ সেলিম জানান জানান পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণ অঞ্চল ও ঢাকার সঙ্গে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে কযয়েকদিনের জন্য কয়েকটি লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে আর দুয়েক দিন যাত্রীর চাপ থাকতে পারে এরপরই আবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। অতিরিক্ত বোঝাই নেই, তবে ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় যাওয়ার জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু যাত্রী বেশি রয়েছে। আগে চেয়ে লঞ্চের ভাড়া বর্তমানে বেশি নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন ঢাকাগামী যাত্রী আব্দুস শহীদ , মিজানুর রহমান, সানাউল্লাহ, মনির হোসেনসহ অনেকেই। কাউখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া যাত্রী আবুল কালাম জানান- তিনি ডেকে বসার জায়গা না পাইলেও ৫০০ টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করেছেন। বর্তমানে কাউখালী থেকে ঢাকা গামী যাত্রীদের ভাড়া ডেক যাত্রীদের ৫০০ টাকা, কেবিন ডবল ২২০০ এবং সিঙ্গাল ১২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন ঘাট সুপারভাইজার ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত