ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কুমিল্লায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার তিন

কুমিল্লায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার তিন

কুমিল্লার লাকসামে এক তরুণী দলবব্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর লাকসাম থানা পুলিশ গত সোমবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণীর জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লাকসাম উপজেলার ফতেহপুর এলাকার একটি বিড়ি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- লাকসাম উপজেলার বড়তোপা গ্রামের মো. সাগর (২৬), লাকসাম পৌর এলাকার পেয়ারাপুর এলাকার এনায়েতুর রহমান সাক্কু (১৯), কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চর-কাউনা গ্রামের স্বপন মিয়া (২১)। গত মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনে রিফাত নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। গত ৮ জুন ওই তরুণী তার কথিত প্রেমিক রিফাতকে লাকসাম বাজারে খুঁজতে আসেন। এসময় তার সঙ্গে এনায়েতুর রহমান সাক্কু নামের এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সাক্কু তরুণীকে নিয়ে লাকসাম শহরে খোঁজাখুজি করে রিফাতকে না পেয়ে এদিন রাত ১০টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের সিঁড়িতে গিয়ে বসে। এসময় রেল স্টেশনে আসামিরা উত্যক্ত করতে থাকলে সাক্কু তরুণীকে তার স্ত্রী পরিচয় দেন। পরে আসামিরা তাদেরকে ৯ জুন ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত রেল স্টেশনে বসিয়ে রাখে। এসময় সাক্কু আসামিদের সঙ্গে মিলে তরুণীর স্বামী পরিচয় অস্বীকার করে আসামিদের প্ররোচণা দেয় এবং ওই তরুণীকে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

রাতে লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মামাতো ভাই বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অন্য আসামি খোরশেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত