পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। সেইসঙ্গে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে বসতবাড়ি ও গাছপালাসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে ৪৩ সে. মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার অভ্যান্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে যমুনা নদীর অভ্যান্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ও হচ্ছে। এবার যমুনা পাড়ের মানুষ বন্যারও আশঙ্কা করছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলার সোনাতনি চর, ধিতপুর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, কুড়াগাছা, ফেকশনপাড়া, চালাহারা, তেঘরি, উত্তর তেঘরি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি চর, মেছড়া চর, গোটিয়ার চরসহ বিভিন্ন চরে ভাঙন এখন তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ভাঙনে এরইমধ্যেই চরাঞ্চলের আঁখ পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার রহিজ উদ্দিনসহ অনেক কৃষক জানান, প্রতিবছরই চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন দেখা দেয়। এবার ভাঙনে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু ফসলি জমি নদি গর্ভে বিলিন হয়েছে। এ ভাঙনে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড তেমন খোঁজ-খবরও নেয় না। বিশেষ করে এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং সেইসঙ্গে ভাঙনের তীব্রতাও বাড়ছে এবং ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অনত্র আশ্রয় নিচ্ছে। এ ভাঙনে এরইমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা গো- চারণসহ বিভিন্ন ফসল চাষে বিপাকে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়কদিন ধরে যমুনার পানি বাড়ছে। এতে অনেক স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। এ ভাঙন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টা সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪৩ সে. মিটার পানি বাড়ছে এবং যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে ভাঙনের বিষয়ে জেনেছি। এরইমধ্যে অনেক স্থানে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।