চলতি মাসেই এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। এ ম্যাচে শিষ্যদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী লাল সবুজ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে দারুণ কিছু পাওয়ার সুযোগ দেখছেন এই স্প্যানিশ কোচ। এই ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম অনুশীলন সেরেছে দল। প্রথম দিনের প্রস্তুতি, খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও মানসিকতা দেখে দারুণ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ। আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ঢাকায় প্রস্তুতি নেয়ার পর, আগামী বুধবার নিবিড় অনুশীলনের জন্য সৌদি আরবে যাবে কাবরেরার দল। সেখান থেকে ১৭ মার্চ ফিরে শিলংয়ে গিয়ে শেষ মুহূর্তের গোছগাছে নামবেন কাবরেরা। খেলোয়াড়দের বর্তমান অবস্থা, তিন ধাপের প্রস্তুতির রূপরেখা নিয়ে বলতে গিয়ে তার কণ্ঠে ঝরল আত্মবিশ্বাসের স্ফুরণ। ‘আমরা ঢাকায় অনুশীলন শুরু করেছি এবং আরও পরিষ্কার পরিকল্পনা নিয়ে সৌদি আরব যাব। সেখানে নিবিড় অনুশীলনে আমরা পরিকল্পনার আরও গভীরে যাব। চোট নিয়ে দুর্ভাবনা নেই। মোরসালিনের একটু চোট আছে, তবে আমাদের যে ফিজিও ও ট্রেনার আছেন, তারা তাকে নিয়ে কাজ করছেন। খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভারত ম্যাচের জন্য প্রস্তুত আমরা। আগেও বলেছি, শিহরণ জাগানিয়া ম্যাচ হবে, ছেলেরা ম্যাচটি নিয়ে দারুণ অনুপ্রাণিত। আমি মনে করি, গুছিয়ে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছি, আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত নিতে পারব এবং ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু পাওয়ার সুযোগ থাকবে আমাদের।’
চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে খেলার সুযোগ পাননি জামাল ভূঁইয়া। এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দ্বিতীয় পর্বের এক ম্যাচ খেলেছেন। জামালের খেলায় ফেরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন কাবরেরা। ‘জামালের ফিরে আসা আমাদের জন্য ইতিবাচক। আমি আগেও অনেকবার বলেছি, সে শুধু মাঠে দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় নয়, মাঠের বাইরেও দলের বাকিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে তরুণদের জন্য। একটা ভাল দিক যে, সে ব্রাদার্স ইউনিয়নে আছে, সেখানে অনুশীলন করেছে, ফিট আছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আশা করি দলে খুব ভালো প্রভাব রাখবে।’ আক্রমণভাগে আল আমিন প্রভাব রাখতে পারবে বলেও আশাবাদী কাবরেরা। বাংলাদেশ পুলিশ এফসির হয়ে এবারের লিগে সাত গোল করে গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন এই ফরোয়ার্ড। ‘তার মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, তার স্টাইল আছে, আমাদের যে ধ্যান-ধারণা, তার সাথেও সে যায়। আল আমিনের মানসিকতা যথেষ্ট ইতিবাচক, প্রাণশক্তি আছে, আমি মনে করি, সে দলের সাথে, আমাদের পরিকল্পনার সাথে মানানসই।’
দলের সাথে দুজনের মানিয়ে নেয়া নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ইতালির সেরি ডি-তে খেলা ফরোয়ার্ড ফাহামেদুল ইসলামের দলে যোগ দেওয়ার কথা আগামী ১০ মার্চ। শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলা হামজা চৌধুরী যোগ দিতে পারেন ১৮ মার্চ। কাবরেরা জানালেন, ভারত ম্যাচের পরিকল্পনা দুজনের সাথে নিয়মিত ভাগাভাগি করছেন, দিচ্ছেন নির্দেশনাও। ‘যত দ্রুত সম্ভব তারা (হামজা ও ফাহামেদুল) আমাদের সাথে যোগ দেবে। আসলে হামজার ১৬ তারিখে একটা ম্যাচ আছে, সে যত তাড়াতাড়ি পারবে, চলে আসবে। তার সাথে যোগাযোগ রয়েছে। আমি তার সম্পর্কে জানি এবং সবসময় তাকে বিষয়গুলো নিয়ে আপডেট রাখার চেষ্টা করছি। আমি যদি ভুল না করি, তাহলে ফাহামেদুলের ম্যাচ আছে ৮ তারিখে (মার্চে), এরপর সে দলে যোগ দিবে। আবার মনে হয়, ৭-৮ দিনের মতো পাবে সে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য। তার সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। আমার বিশ্বাস, সে আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।’