ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের জাতহলিদা গ্রামের সুখদহ নদীর ওপর প্রায় ২০ বছর আগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে এলাকাবাসী। এর পর থেকে জাতহলিদা ও পুঠিয়ার ঘোন গ্রামের মানুষ এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার বলার পরও সেখানে সরকারিভাবে কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। সুখদহ নদীর ওপরে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে।

এদিকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে আছে শিক্ষার্থীসহ ও এলাকাবাসী। গ্রামের অধিকাংশ কৃষি জমি নদীর পূর্ব প্রান্তে। ফলে চাষাবাদসহ কৃষিপণ্য এই পথ দিয়েই আনানেয়া করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়। বিভিন্ন সময় সরকার ক্ষমতায় থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে দুটি গ্রামের মানুষ হতাশায় জীবনযাপন করছেন। বর্ষা এলেই চরম দুর্ভোগে পড়েন তারা। এলাকার কৃষক শহিদুল জানায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অনেক রাজনৈতিক নেতা ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কিন্তু আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ব্রিজ নির্মাণ করলে এলাকার মানুষ যেমন উপকৃত হবে। অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতি নির্ভর এলাকার মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। এখানে মরিচ, পেঁয়াজ, আলু, ধান, পাট, শাকসবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। জাতহলিদা গ্রামের আজিজার জানায়, নদীর ওপর ব্রিজ নির্মিত হলে পাল্টে যাবে দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন শেষ হলে তা আর বাস্তবায়ন করে না। এখন পর্যন্ত সেতু নির্মিত হয়নি। তাই এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সরকারিভাবে একটি ব্রিজ নির্মাণের। এখানকার বেশিরভাগ কৃষি জমি নদীর পূর্ব পাড়ে। চাষাবাদ এবং ফসল ফলাতে তাদের প্রতিদিন নদী পার হতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত র্দুঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত