কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কল্লা চৌরাস্তার সড়কের বাগাইন বিলের উপর ৪০ ফুট লম্বা ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এতে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার সদরে আসতে ও যেতে ওই ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ ব্রিজ ছিল। ভাঙা ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কল্লা গ্রামের বাগাইন বিলের ওপর ২৪শ ১০ মিটার চেইনেজে ৪০ ফুট লম্বা ত্রাণ ও পূনবার্সন অধিদপ্তর ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে ২০০৩ সালের মে মাসের ৩০ তারিখে ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন। বয়স মাত্র ২২ বছর। উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কল্লা গ্রামের হারিছ উদ্দিন, আবু সাঈদ, তহুর উদ্দিন ও আবদুল বারেক সহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্রিজটিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। ভাঙ্গা ব্রিজের কথা অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিধিকে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ জন্য এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত ব্রিজ তৈরি করা না হলে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। এভাবে জনদুর্ভোগে মানুষের কষ্ট বাড়ে। উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাওলানা আবু বকর বলেন, ২২ বছর পূর্বে ত্রাণ ও পুনবার্সন অধিদপ্তর ভেঙে পড়া ব্রিজটি নির্মাণ করেছিল। ১০টি গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠী চলাচল করতো ওই ব্রিজ দিয়ে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছে শিক্ষার্থী, কৃষক ও রোগীরা।
উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আসাদ জানান, ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে ২২ বছর হয়। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত ওই ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য ভেঙে যাওয়া ব্রিজের জায়গায় স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসান জানান, ব্রিজটি দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি দেখতে যাই। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় সতর্কবাণীর সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলজিআরডি অফিসের অধিন, বরাদ্দ এলেই সরকারিভাবে পুনরায় নির্মিত হবে এই ব্রিজ। আমরা শতভাগ আশাবাদী খুব দ্রত নতুনভাবে নির্মিত হবে এই ব্রিজ। নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য আমরা প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছি।