ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বেনাপোলে মরুভূমির জাহাজ

বেনাপোলে মরুভূমির জাহাজ

ভূমধ্যসাগরের ধূসর মরুভূমি নয়, মরুভূমির জাহাজ নামে পরিচিত উট। সাধারণত যাকে আমরা দেখি টিভি পর্দায় কিংবা বইয়ের পাতায়, সেই উট এখন উপস্থিত বাংলাদেশের যশোর জেলার বেনাপোলের পুটখালী গ্রামে। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ব্যতিক্রমী এই দৃশ্য তৈরি হয়েছে সীমান্তঘেঁষা নাসিরের খাটাল নামক একটি খামারে। খামার সূত্রে জানা যায়, এই খামারে রাখা উটগুলো এক বছর আগে সৌদি আরব থেকে আমদানি করা বিশাল আকৃতির কিছু উট। যার প্রতিটির উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উটের দাম শুনলে চমকে উঠতে হয় এক একটি উট বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকার মধ্যে। এই খামারে সাতটি উট আছে তার ভেতরে একটি উট এরইমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।

খামারিরা জানান, এই উটগুলো আমরা বিশেষভাবে রেখেছি কোরবানির জন্য। প্রতিদিন সকালে গোসল করানো হয়, খাওয়ানো হয় ছোলা, ভুট্টা আর ঘাস। প্রতিদিন ভোরে শুরু হয় উটের যত্নের পালা। পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল, তারপর মনোযোগ দিয়ে খাবার খাওয়ানো। যেন রাজকীয় সেবায় অভ্যস্ত এরা। উটের পরিচর্যায় রয়েছে আলাদা যত্ন। বিশাল এই প্রাণীগুলোকে প্রতিদিন নির্ধারিত খাদ্য তালিকা মেনে খাওয়ানো হয়। দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এই গ্রাম। অনেকে শুধুই দেখার জন্য আসছেন, আবার কেউবা পরিবারসহ এসে আগ্রহ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন কোরবানির জন্য উপযুক্ত উটটির।

গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যেও উট নিয়ে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। শিশুরা উটের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে, কেউবা ভিডিও করছে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার জন্য। যেখানে কোরবানির হাট মানেই গরু ও ছাগলের আধিপত্য, সেখানে মরুভূমির জাহাজ হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বেনাপোল পুটখালীর এই ব্যতিক্রমী আয়োজন নিঃসন্দেহে ঈদের আনন্দকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।

শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এর কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা বলেন, উট আমাদের দেশের জন্য একটি মূল্যবান প্রাণী। আমরা এই উটকে প্রতিনিয়তই কৃমিনাশক ওষুধ দিয়ে যাচ্ছি। এবং সব দিকে তদারকি করছি যাতে ইনজেকশন পুশ করে মোটা তাজা না করানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত