ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দৌলতপুরে যমুনার ভাঙনের মুখে ২০ গ্রাম

দৌলতপুরে যমুনার ভাঙনের মুখে ২০ গ্রাম

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে যমুনা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।

নদীর আগ্রাসী স্রোতের মুখে নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের বসতভিটা, বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও স্থানীয় বাজারঘাট। বাঘুটিয়া বাজার থেকে কাশিদয়রামপুর এবং ইসলামপুর ঘেড়াঘাট থেকে রাহাতপুর ঘোষবাড়ি খাল পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর তীরবর্তী বাসাইল, মুন্সিকান্দি, রাহাতপুর গ্রামগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একের পর এক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। চোখের সামনে স্বপ্নের ঘরবাড়ি, ফসলের খেত নদীতে ভেঙে যাওয়ার এমন অসহায় দৃশ্য বাকরুদ্ধ করে তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বাড়ইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রিনা বেগম জানান, এর আগেও তার সাত থেকে আটবার বাড়ি ভেঙেছে। বর্তমানে তিনি এই গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। সামান্য এই বসতভিটাটুকু ছাড়া তাদের আর কোন জমি নেই।

কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, এটাও যদি ভেঙে যায়, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? সরকার যদি নদীটা একটু বেঁধে দিত, তাহলে আমাদের আর কিছু চাওয়ার থাকত না। মুন্সিকান্দি গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়া বলেন, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। গত বছর কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। মুন্সিকান্দি থেকে আমার বাড়ি ভেঙে গেছে, এখন বাড়ইপাড়ায় আছি।

এখানে স্কুল, মাদ্রাসা রয়েছে, সেগুলোও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আগুনে পুড়লে ভিটা তবুও থাকে, আমাদের তাও নেই। একদিকে অভাব, অন্যদিকে ভিটেমাটি হারানোর ভয় আমাদেরকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। একই গ্রামের আব্দুল হালিম শেখ ও মোতালেব খান বলেন, নদীর পাড়েই আমাদের বাড়ি।

নদীতে স্রোত শুরু হয়েছে। এখনই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত