
সিরাজগঞ্জের একটি ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দীর্ঘদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইছামতি নদীর পূর্বপাড়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একডালা ঘাট ও অপরপাড়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকা। এ ঘাট দিয়েই ২ এলাকার বহু লোকজন চলাচল করে প্রতিদিন। এ গুরুত্বপূর্ণ ঘাট নামকস্থানে এ নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ কারণে জরম জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এ নদীর প্রসস্থতা কমে আসলেও এখন গভীরতা রয়েছে অনেক। স্বাধীনতার পর থেকে মন্ত্রী, এমপি ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জনস্বার্থে নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করা হয়। এ আবেদন করে এখনও কাজ না হলেও ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনায় ঘাট এলাকায় মাপজোপ করেছিল স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। অবশেষে স্থানীয়রা বাশের সাঁকো দিয়ে এ নদী পারাপার হচ্ছে।
বর্ষার সময় এ নদীতে নৌকাযোগে চলাচল করতে হয় এবং পানি কিছুটা কমে গেলে ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ সাঁকো পারাপারে প্রতিনিয়ত ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যে কোনো বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিশেষ করে জীবনঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে এ নদী পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে ছোটখাট ব্যবসায়ীসহ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। তবে বর্ষা মৌসুমে এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ছোটখাট যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, ওই নদীর উভয়পাড়ে ফসলি জমি রয়েছে। এ জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু ওই নদীতে একটি ব্রিজের অভবে উৎপাদিত ফসল পারাপার ও চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এবং নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা ওই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের একাধিকবার আশ্বাস দেন।
কিন্তু নির্বাচন পার হয়ে গেলে কেউ আর খোঁজ নিতে আসে না। আমাদের এ চরম দুর্ভোগ থেকেই যায়। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান বলেন, ওই নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প চলমান আছে। এ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় একডালা দক্ষিণপাড়া ঘাট এলাকায় একটি ব্রিজ প্রস্তাবিত রয়েছে এবং অনুমোদন পাওয়া গেলে বিধিমতে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।