মাত্র পাঁচ মাস ১৮ দিনের মাথায় সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ মুখস্থ করেছে আট বছর বয়সি শিশু সাইদুল ইসলাম। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া বড় বাড়ি দারুল কোরআন নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার এই ক্ষুদে শিক্ষার্থী তার অদম্য মেধা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে পবিত্র কোরআনকে আত্মস্থ করেছে।
সাইদুল ইসলাম মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাইড়া গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আক্কাস আলীর ছেলে। তার এই বিরল প্রতিভা মাদ্রাসা শিক্ষক, পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে সৃষ্টি করেছে এক অভাবনীয় আনন্দ ও উচ্ছ্বাস।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক হাফেজ সহিদুল ইসলাম জানান, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, হিফজ বিভাগের শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রম এবং সাইদুলের জন্মগত মেধা ও আন্তরিক প্রচেষ্টাই এই অল্প সময়ে হিফজ সম্পন্ন করার মূল কারণ।
সাইদুলের বাবা আক্কাস আলী জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের প্রতি সাইদুলের প্রবল আগ্রহ ছিল। মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য সে নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করে। গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় এবং ২০২৫ সালের শুরুতেই তাকে পবিত্র কোরআনের সবক দেওয়া হয়। এরপর মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই সে কোরআনে হাফেজ হয়ে ওঠে।
সাইদুলের এই মহতী অর্জন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। হাফেজ অহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২২নং টনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান (তুহিন)। প্রধান বক্তা ছিলেন হযরত আমজাদ হোসাইন। এছাড়াও হাফেজ বায়জিদ, সাজ্জাদ হোসেন এবং শিক্ষক ডালিম উপস্থিত ছিলেন। গত ২৬ মে, ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ সহিদুল ইসলাম সাইদুলের সমাপনী পড়া শোনেন।
হাফেজ সাইদুল বিনয়ের সঙ্গে জানায়, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য একজন আলেম হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সে সবার দোয়া চাই। তার পরিবারও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।