আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মত শিরোপা জিতল ভারত। গত রোববার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যখন দলের সবাই জয়ের আনন্দে ব্যস্ত ছিল, বিরাট কোহলি তখন, মোহাম্মদ শামির মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন এবং তার পা ছুঁয়ে সালাম করে শুভেচ্ছা জানালেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হৃদয়স্পর্শী এই ঘটনার ভিডিও সবার মন জয় করে নিয়েছে। উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিতে বড়দের পায়ে স্পর্শ করা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা একটি ঐতিহ্য। একই সাথে এটি সম্মান, বিনয় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি প্রতীক। বয়জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেয়ার একটি মাধ্যম। এদিকে বিরাট শামির পরিবারের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই ব্যাপারটা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়। এক্স হ্যান্ডেলে এক ব্যবহারকারী লিখেন, ‘মোহাম্মদ শামির মায়ের পায়ে স্পর্শ করলেন বিরাট কোহলি এবং শামির পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি তুললেন। তিনি সত্যিকারের একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। যখন আগ্রাসন দেখানোর দরকার হয়, তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি তা দেখান এবং যখন নম্রতা দেখানোর দরকার হয়, তখন তিনিই সেটিও করেন।’ বয়জ্যেষ্ঠদের পা স্পর্শ করার ঐতিহ্য শুধু একটা রীতি নয়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে আধ্যাত্মিক, মানসিক ও বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও আছে এর পেছনে। বড়দের পায়ে স্পর্শ করা হচ্ছে, তাদের ত্যাগ, জ্ঞান ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি উপায়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে, যখন আন্তরিকভাবে কারও পায়ে স্পর্শ করা হয়, তখন তাদের কাছ থেকে ‘সুখে থাকার শক্তি’ ও ‘আশীর্বাদ’ পাওয়া যায়। বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয়, বড়দের পায়ে স্পর্শ করার সময় শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, শরীর নমনীয় থাকে।