অনুমোদন ছাড়াই বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ব্যতীত সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজিতে নিম্নমানের ও কমমূল্যের খেলাধুলা সামগ্রী সরবরাহ করে বেশি দামে কেনা দেখিয়ে ২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান ও ঢাকা উত্তরার বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ নজরুল ইসলাম অভিযোগপত্র পর্যালোচনা শেষে এ আদেশ দেন। গতকাল শুক্রবার সাতক্ষীরা জজ কোর্টের দুদকের পিপি আসাদুজ্জামান দিলু ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সহিদুর রহমানের ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি করা মামলার বিবরণে জানা যায়, অনুমোদন ছাড়াই, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ব্যতীত সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজিতে (নলতা) ইকুইপমেন্ট সামগ্রী, আসবাবপত্র, বইপত্র সাময়িকী ও খেলাধুলার সামগ্রী কেনার জন্য ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠান তৎকালিন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ও সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজির সাবেক অধ্যক্ষ ডা. তওহিদুর রহমান। অধিদপ্তরের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতীত নলতা আইএইচটিতে চাহিদা বরাদ্দ পাওয়ার আগেই খেলাধুলা সামগ্রীসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য বিধিবহির্ভুতভাবে বাজারদর কমিটি, দরপত্র উান্মুক্তকরণ কমিটি, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও সার্ভে কমিটি গঠন করে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করেন ডা. তওহিদুর রহমান। ২০১৮ সালের ১৫ মে ডা. তওহিদুর রহমান ঢাকার উত্তরার বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজকে ১০টি ফুটবল, ২৫টি ক্রিকেট ব্যাট, ২১টি ক্রিকেচ বল, ২০টি ক্রিকেট প্যাড, ১১টি ক্রিকেট হেলমেট, ১০টি ক্রিকেট গ্লাবস, ১৫টি ক্রিকেট স্টাম্প, ৫টি ২০ কেজি ওজন সেট, ৫টি ৫ ইঞ্চি স্টিক, ৫টি ৪ ইঞ্চি স্টিক, ৫টি ৩ ইঞ্চি স্টিক, ৫টি ১৪ কেজি ডাম্বেল, একটি ট্রিসেফ বার, ৫৬পিস মাল্টি জাম, ৫টি চায়না আপ মেশিন, ৫টি ট্রেড মিল, ৪টি সিট আপ বেঞ্চ, ৬টি টিটি বোর্ড, ১০টি বাস্কেট বল, ১০টি ব্যাডমিন্টন সেট, ৫টি দাবা সেট, ১৫টি হ্যান্ডবল, ১০টি ভলি বল, ক্লাইন চেষ্ট প্রেস এর ৪টি স্মিথ মেশিন, কেবল ওয়ারের ২০টি লাফ দড়ি, ৫টি হ্যামার স্ট্রেনথ, ৫টি ইলেকট্রিকাল ট্রেনার এক্সসারসাইজ বাইক ও ৫টি ৫৬ ইঞ্চি ক্যারাম বোর্ড সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজ ২০১৮ সালের ২৪ মে মালামাল সরবরাহ করে ওই বছরের ১০ জুন ৫০ লাখ টাকার বিল দাখিল করেন। ডা. তওহিদুর রহমান বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহিনুর রহমানকে ২০১৮ সালের ১০ জুন ওই বিল পাশ করে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস বরাবর পাঠান। সে অনুযায়ী হিসাবরক্ষণ অফিস সরকারি কর্তন বাদে বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজ এর অনুকূলে২০১৮ সালের ১৪ জুন ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করে।