জামালপুরের মেলান্দহে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গত বুধবার মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাদী হয়ে মোট ৩১ জনকে নির্দিষ্ট এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৩নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের পলাতক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেনীন তাসনীম জোনাকি, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শামসুদ্দিন হায়দার দিলীপ, আদ্রা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ফরহাদ, নয়ানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরাফত আলী শরিফ মেম্বার, ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক আলতাফ হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম শাওনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অংগ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।
মামলায় ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনি প্রচারণা কাজে ৫নং চর গ্রামের মরহুম নূরুল আমিন বিএসসির ছেলে রাশেদ আল আমিন শুভ তার লোকজন নিয়ে ৫নং বাজারে যান। এ সময় আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে গুলি ছুড়ে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে মারধর, প্রাইভেট কার ভাঙচুর, নগত অর্থ কেড়ে নেয়াসহ মোট ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধনের কথা উল্লেখ্য করা হয়। মেলান্দহ থানার ওসিশফিকুল ইসলাম জানান-মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বাকিবিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।