ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান

সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান

দাগনভূঞায় পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন কৃষকেরা। এই চাষের ফলে একদিকে যেমন আয় হচ্ছে, অন্যদিকে পতিত অনাবাদি জমিকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে উপজেলার কৃষকরা। চাহিদা ও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করেছেন। প্রত্যেকটি ব্লক ও প্রদর্শনী করে এই ফসলের তদারকি করছেন উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষিঅফিস থেকে বীজ-সারসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে। এবার অত্র উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১১ হেক্টর জমি। এ বছর উপজেলায় সূর্যমুখীর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কৃষক শাহজাহান, সিরাজ উল্যাহ ও লিয়াকত আলীর সূর্যমুখী প্লটে গিয়ে দেখা গেছে, সূর্যমুখী বাগানে অপূর্ব দৃশ্য। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। কৃষক শাহজাহান জানান, আমার ৩০ শতক জমি অনাবাদি ছিল। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আবাদ শুরু করি সূর্যমুখী। এই বীজ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে দিয়েছে। কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্লট দেখে যাচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষক সিরাজ উল্যাহ জানান, ১০ শতক জমিকে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সূর্যমুখীর আবাদ করি। কৃষক লিয়াকত আলী জানান, ২০ শতক জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সফিক উল্যাহ বলেন, প্রনোদণা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে এবং সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান জানান, যেসব প্রকৃত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে শুধু তারাই সূর্যমুখীর আবাদ করেছে। অন্যান্য কৃষকরা নিজ নিজ উদ্যোগে তেমন করেনি এ কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হয়েছে। সূর্যমুখী ফুল থেকে চারা রোপণের দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফলন আসে। সূর্যমুখীর জমিতে উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তারা পরিদর্শন করে কৃষককে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত