ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রলোভনে বাড়ছে তামাক চাষ খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত

প্রলোভনে বাড়ছে তামাক চাষ খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত

কুষ্টিয়ায় তামাকজাত কোম্পানিগুলোর লোভনীয় প্রলোভন আর অধিক মুনাফার আসায় চাষিরা ঝুঁকছেন তামাক চাষে। ফলে কমে আসছে খাদ্যশস্যের উৎপাদন, শঙ্কা দেখা দিয়েছে খাদ্য ঘাটতিরও। অন্যদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, তামাক চাষের কারণে ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে বিষবৃক্ষ তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ফসলের মাঠ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠের যেদিকে তাকানো যাবে, শুধু তামাক খেত চোখে পড়বে। তামাকজাত কোম্পানিগুলো চাষিদের অগ্রিম লোন ব্যবস্থাপনা, বীজ, সারসহ সবধরনের সুবিধা ও অন্যান্য উদ্দীপনা দেয়ার পাশাপাশি তামাক ক্রয়ের নিশ্চয়তার ফলে দৌলতপুরসহ কুষ্টিয়ায় বেড়েছে তামাকের চাষ। সেইসাথে অধিক মুনাফার আসায় খাদ্যশস্য উৎপাদন ছেড়ে কৃষকরাও ঝুঁকেছেন তামাক চাষে। গতবছর জেলায় ১০ হাজার ৯৩১ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ হলেও এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৮৫ হেক্টরে। ফলে দিন দিন কমে আসছে খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ। এতে করে একদিকে হুমকির মুখে পড়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন অপরদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে জনসাধারণ এমনটি জানিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলার চুয়ামল্লিক পাড়া গ্রামের সফল কৃষক রানা হোসেন। তামাকজাত কোম্পানির লোভনীয় সুবিধা ও সরকারের কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় সবচেয়ে তামাক চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে দৌলতপুর উপজেলায়। এভাবে তামাক চাষ বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটবে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন শাহীন রেজা ও জুয়েল আহমেদসহ দৌলতপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ। তামাক চাষ ও ব্যবহারের কারণে হতে পারে শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিল রোগ। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে কৃষক পরিবার ও জনসাধারণ বলে মনে করেন স্থানীয় চিকিৎসক ডা. হাফিউর রহমান পলাশ। জেলায় দিন দিন তামাকের চাষ বাড়লেও কৃষি বিভাগের দাবি তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এমনটি জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সুফী মো. রফিকুজ্জামান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত