নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় অন্য পক্ষের শফিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার নিহতের ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে বিএনপির অন্তত ২৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত আরও ৯০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশের হাতে আটক তাজুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার দেখনো হয়েছে। তাজুল ইসলাম উপজেলা যুবদলের সদস্য। তিনি মামলার ১৬ নম্বর আসামি। নিহত শফিকুল ইসলাম বাকলজোড়া আব্বাছনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি কাঠের মিলে করাত কল শ্রমিকের কাজ করতেন।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমানের পক্ষে তার কর্মীসমর্থকরা গত বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছামূলক বিলবোর্ড লাগাতে যান।
দুর্গাপুর পৌরসভার পুলিশ মোড় এলাকায় বিলবোর্ড টানানোর সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্মরণিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন এতে বাধা দেন এবং বেশ কিছু বিলবোর্ড ভাঙচুর করেন। পরে হামিদুর রহমান বিষয়টি দুর্গাপুর থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো সহ জামাল উদ্দিনের বাবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হোসেন আবু চানকে জানান। এতে জামাল উদ্দিন আরও ক্ষিপ্ত হন। পরে তার নেতৃত্বে ওই দিন রাত আটটার দিকে বেশ কিছু মোটরসাইকেলে এক দল লোক আব্বাছনগর এলাকায় গিয়ে হামিদুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালান।
হামলায় হামিদুর রহমানের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে আজ মামলা করেন। দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, মামলায় তাজুল ইসলাম নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।