মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন খালে জোয়ারের পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে ২৯টি গরু মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও চাল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে মারা যাওয়া গরু প্রতি নগদ ৩০ হাজার টাকা প্রদান ও ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। এ সময় ভাটি বলাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন ‘এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে রিপোর্ট হয়েছে। আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় অবগত রয়েছে। আমরা যতটুকু পারব আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। আজকে প্রতিটি গরুর জন্য নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হলো। আরও কোনো উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ভাইদের জন্য কিছু করা যায় কি না তা আমরা দেখব। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন শরীফ, এলজিইডির গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরিফিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মল্লিক।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন কচুরিপানা ভর্তি খালে জোয়ারের পানির তোড়ে ভেসে যায় শতাধিক গরু। এ ঘটনায় ৭০টির মত গরু সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মারা যায় ২৯টি গরু। আসন্ন ঈদুল আজহায় বিক্রির উদ্দেশ্যে এসব গরু লালন পালন করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামটির অন্তত ১৮টি পরিবার।