বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেছেনে, বিগত ১৬ বছরে আমাদের ওপর অনেক অন্যায়-অত্যাচার, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা গুম করা হয়েছে। আমাদের ভাইদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের ভাইদের শাহাদাতের প্রতি ফোটা রক্তের বদলা আমরা নিতে চাই। সে বদলা হবে বাংলাদেশকে কোরআনের বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে। গতকাল মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইসলাম বিজয়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ লড়াই, সংগ্রাম ও কোরবানির মধ্য দিয়ে শহাদাতের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকে ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে চূড়ান্ত বিজয়ে রুপদান করতে আপনাদেরকে। আপনারা যদি আগামীতে এই বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে না পরেন, তাহলে ব্যর্থতা হলো আপনাদের।
কারণ যারা শহিদ হয়েছেন তারা তো পাস। তাদের রেখে যাওয়া কাজকে আপনাদেরই সম্পন্ন করতে হবে। সারাদেশের মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথরিয়া, প্রতিটি প্রান্তরের মানুষের মুখে একটাই কথা, সব দল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। নীরব ভোট বিল্পব ঘটানোর জন্য আগামীর সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে, আপনাকে প্ররিশ্রম করতে হবে। কারণ আল্লাহ ততক্ষণ সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে। সুতরাং আপনাদের সে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা কষ্ট করেছি। জুলুমের শিকার হয়েছি। আমরা শাহাদাৎ বরণ করেছি, শীর্ষ নেতৃত্বকে হারিয়েছি। বছরের পর বছর আমরা জেল খেটেছি, আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমাদের প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ৫ আগস্ট তার পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের বিজয় দান করলেন। এই বিজয়ের পর একের পর এক যে সিমটমগুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেগুলা আগামীর সম্ভাবনার বাংলাদেশ। আমাদের নিবন্ধন ফিরে পেয়েছি, প্রতীক ফিরে পেয়েছি, এটিএম আজহার ভাই মুক্ত হয়েছেন। তার মামলার রায়ের মাধ্যমে শুধু তিনি মুক্ত হননি, সারা বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে। অতীতের মামলাগুলোর রায় ছিল ন্যায় ভ্রষ্ট রায়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়, সেটি প্রমাণ হয়েছে।
আগামীতে কেউ যেন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিতে না পারে, সে লক্ষ্যে নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়ে দেলাওয়ার হোসেন বলেন, যেখানে অন্যায় হবে ধৈর্যধারণ করবেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। প্রতিরাধে কাজ না হলে, সেখানে লড়াই চলবে। লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে রুহিয়া থানা আমীর আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোস্তাফিজুরের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।