চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডেও (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৬টি প্রস্তাবিত প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে- এক হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর উভয় তীর রক্ষা প্রকল্প, ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আমনুরা, নয়াগোলা থেকে মহাডাঙ্গা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পাগলা নদীর সেচ প্রকল্প, ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলায় মহানন্দা নদীর পানি ব্যবহার করে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প, ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলায় মহানন্দা নদীর ভাঙন থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা প্রকল্প এবং প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোমস্তাপুর উপজেলায় পূনর্ভবা নদী ভাঙন থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা প্রকল্প।
গণশুনানিতে সবেচেয় বেশি সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর উভয় তীর রক্ষা প্রকল্পটি অগ্রাধিকার পায়। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এ প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানানো শুনানিতে। সভাপতির বক্তব্যে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, আগ্রাসী পদ্মায় প্রতিবছরে অনেক মানুষ নদী ভাঙনের শিকার হয়। ফলে ভিটামাটিসহ আবাদি জমি হারাতে হয় পদ্মা তীরবর্তী মানুষকে। যার কারণে পদ্মা নদীর ভাঙন রোধ করা আমাদের খুবই জরুরি। প্রকল্পটি নিয়ে আমরা কাজ করবো।
এতে উপস্থিত ছিলেন- ৫৩ বিজিবির সহকারি পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার রুপ কুমার বর্মণ, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আবু সাঈদ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. তায়েফ উল্লাহ হুজাইফা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আলী কাওছার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহিম, সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন প্রমুখ।