জেলা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা নদীতে নতুন করে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে এ ভাঙনের ফলে প্রায় ৫০০ বর্গফুট এলাকার সিসি ব্লক ও জিইও টেক্রটাইল ব্যাগ নিয়ে নদীতে তলিয়ে গেছে। এখানকার সিসি ব্লক ও বালুভর্তি জিইও টেক্সটাইল ব্যাগ ধসে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এ এলাকার তিনটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ও শতশত নদী পাড়ের বাসিন্দারা এখনো ভিটেমাটি হারানোর দুশ্চিন্তায় তাদের দিন রাত কাটছে আতঙ্কে। সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বাগানবাড়ী ইউনিয়নের খাগুরিয়া, হাপানিয়া ও নবীপুর গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে নদীপাড়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন চলছে।
এতে করে আতঙ্কে রয়েছে তিনটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এ বিষয়ে উপজেলা প্রভাবশালী নেতা মিয়া মনজুর আমিন স্বপন ভাঙন সম্পর্কে বলেন, আবারো নতুন করে গত সপ্তাহ থেকে পূর্বের চাইতে আরো বেশি নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিস্ট কোনো কর্মকর্তার নজর নেই এ ভাঙনের প্রতি। যার ফলে যে কোনো সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে আমাদের সবার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এমনকি বৃহত্তম মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধটি ঝুঁকিতে পড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া বলেন, নদী ভাঙনরোধে পাড়ে ফেলা বালুভর্তি জিইও টেক্সটাইল ব্যাগ ধসে পড়তে শুরু করেছে। দ্রুত ভাঙনরোধ না করা গেলে স্থানীয়দের যে সব বাড়িঘর রয়েছে, সে সব বাড়িঘর রক্ষা করা সম্ভব হবে না। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম শাহেদ বলেন, হঠাৎ মেঘনা ধনাগোদা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা জেনেছি। গতকাল সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।