কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। ফলে শত শত একর ফসলি জমি ধ্বংসে পতিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের সাইড হুমকির মুখে। সরেজমিন দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলাধীন ১১নং হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ মৌজার সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শত শত ট্রাক্টর দিয়ে অবৈধভাবে আবাদি জমি কেটে বালু উত্তোলন ও বিক্রি চলছে। এতে করে ওই এলাকার শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজ প্যাকেজ নং ঢ়০৩/১৭শেষ হয়েছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় জমিগুলো আবাদের উপযোগী ভূমি চরে পরিণত হয়েছে। এখানকার সাধারণ কৃষকরা জমিগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফসল এরই মধ্যে চাষাবাদ শুরু করেছেন। স্থানীয় একব্যক্তির নেতৃত্বে শত শত ট্রাক্টর দিয়ে অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙন প্রতিরোধ সাইডের ব্লকের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে যথেচ্ছভাবে বালু উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করছে। এতে করে যেমন ফসলি জমি ধ্বংস হচ্ছে তেমনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী প্রতিরোধ কাজের পিসিং ও ডাম্পিং হুমকির মুখে পড়ছে। এলাকাবাসীরা বাধা প্রদান করলে বালুর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী এলাকাবাসীদের প্রতি মারমুখী হয়ে ওঠেন। নিরুপায় হয়ে ঐ এলাকার শত শত সাধারণ কৃষকরা গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পত্র গত ১৯ জানুয়ারি তারিখে উলিপুর উপজেলা ভূমি কমিশনার, উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উলিপুর সদর থানা ও জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম বরাবরে জমা দেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করে। কৃষক ও এলাকাবাসী বলেন, অবৈধভাবে বালুর উত্তোলনের ফলে ফসলি জমির পাশাপাশি তাদের বাড়িঘর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের কাজের অবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহীর প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে উপ-সহকারী প্রকোশলীক নির্দেশ দিয়েছি তাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়ায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মোবাইল র্কোট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুই মাসের জেল দিয়েছি ও দুটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে এ অভিযান চলমান থাকবে।