ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কার্যক্রম নেই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে একমাস ধরে উড়ছে জাতীয় পতাকা

কার্যক্রম নেই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে একমাস ধরে উড়ছে জাতীয় পতাকা

বান্দরবান সদর উপজেলায় ৫নং টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের ভবন আছে নেই কোনো কার্যক্রম। গত একমাস থেকে উড়ছে জাতীয় পতাকা। জনগণের সেবা দিতে ইউনিয়ন পরিষদটি ভবনটি ২০০৬ সালে নির্মাণ করে। নিয়মিত ব্যবহার না করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে, যেন ভুতুড়ে বাড়ি। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একমাস থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে পতাকা উড়ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সদরে বসে কার্যক্রম চালাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে সেবা নিতে সাধারণ মানুষের যেতে হয় জেলা সদরে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫নং টংকাবতী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ৫২টি পাড়া প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। জন্মসনদ থেকে শুরু করে মৃত্যুসনদ ও চেয়ারম্যান সনদসহ যাবতীয় নাগরিক সেবার একমাত্র ভরসা সড়কের পাশে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু কার্যক্রম অনিয়মিত হওয়ায়, নাগরিক সেবা ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থাকা শর্তেও নানান অজুহাত অফিসের কার্যক্রম বান্দরবান জেলাসদরে বসে চালাচ্ছেন টংকাবতী ইউপি চেয়ারম্যান মাংয়ং ম্রো প্রদীপ। জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান সনদসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা পেতে দুর্গম পথ পাড়ি বাড়তি টাকা খরচ করে জেলা সদরে যেতে হয়। চেয়ারম্যান নিয়মিত উপস্থিত না থাকায় নাগরিক সেবার জন্য ছুটতে হয় সদরে। আসা-যাওয়া খরচ গুনতে হয় দ্বিগুণ টাকা। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বছরে পর বছর এই ইউনিয়নে দুর্গমের বাসিন্দাদের।

সার্বিক বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ৫নং টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাংয়াং ম্রো (প্রদীপ) সঙ্গে। তিনি জানান জাতীয় পতাকা উঠানামার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দফাদারকে, কেন পতাকা নামানো হয়নি আমি খোঁজ খবর নিয়ে জানাচ্ছি। নাগরিক সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রতিদিন পরিষদে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। নাগরিক সেবার বিষয়ে একরকম দায়সারা গোছের জবাব দেন এবং পরিষদ বন্ধ থাকে না বলে অস্বীকার করেন তিনি। এ বিষয়ে উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), স্থানীয় সরকার এসএম মনজুরুল হক বলেন, অবগত হয়েছি এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত