নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার। গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম সব্দুল (২৭), হাতিয়ার গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মন (৩০), বামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭), একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)। পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় জেলার পত্নীতলা উপজেলার পত্নীতলা-সাপাহার সড়কে বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রবিবার রাতে জয়পুরহাটের কালাই থেকে ৩ জন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ২ জন এবং বগুড়ার কাহালু থেকে আরো ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ১ জোড়া কানের দুল ও কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত করাত, কয়েকটি হাসুয়া, ১টি প্লাস এবং ১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পাবনা জেলার সাঁথিয়ায় কয়েকটি গাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তাদের কাছে থেকে পাবনায় ডাকাতি হওয়া ১টি ল্যাপটপ এবং ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পত্নীতলায় বাস ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি তারা পাবনায় ডাকাতির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করেছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ৬টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে ২টি, শামীমের বিরুদ্ধে ২টি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। এঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার পদে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গাজিউর রহমানসহসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।