ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ, পলেস্তারা খসে শ্রেণিকক্ষে পানি

ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ, পলেস্তারা খসে শ্রেণিকক্ষে পানি

তিন কক্ষের আধাপাকা স্থাপনা। সেই কক্ষগুলোতেই চলে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। উঠে গেছে স্থাপনার দেয়ালের রং। খসে পড়ছে পলেস্তারা। ফাটল দেখা দিয়েছে দেয়ালে। এমনকি মাথার ছাউনি হিসেবে থাকা টিনেও ধরেছে মরিচা। হয়েছে ছিদ্রও। বৃষ্টিতে টিন ভেদ করে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। এমন চিত্র ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ৮২নং তারাটি গদুরভিটা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। যে কোনো সময় জরাজীর্ণ স্থাপনায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে বলে শঙ্কা শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের।

জানা গেছে, ১৯৫৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭৩ সালে এটি সরকারি করা হয়। এর ২ বছর পর ১৯৭৫ সালে বিদ্যায়ের তিন কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে কেটে গেছে বিরাট সময়। এটি বিগত দশ বছরে তিন-চার বার সংস্করণ করা হয়। কিন্তু ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সংস্কার করেও সুফল পাওয়া যায় না। এমনকি নতুন করে কোনো ভবনও নির্মাণ করেনি সরকার।

শিক্ষার্থীরা জানান, দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল আছে। পলেস্তারা খসে পড়ে। বৃষ্টি হলে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। এতে বই-খাতা ভিজে যায়। বাতাসে টিনের চাল দুলতে থাকে, এতে তারা ভয় পায়। অনেক সময় আকাশে মেঘ দেখলে অভিভাবকরা তাদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তারাটি গদুরভিটা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমাদের স্কুলে শ্রেণি কক্ষের সংকট রয়েছে। আর আধাপাকা তিনটি কক্ষই জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক পারভীন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান স্কুলে ১৭০ শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলের অবকাঠামো অবস্থা ভালো না। বৃষ্টি হলেই ক্লাসে পানি ঢুকে। পলেস্তারা খুলে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের আসতে দেয় না। তিনি আরও বলেন, পুরাতন মডেলের ভবন হওয়ায় এখানে তিনটি কক্ষ রয়েছে, প্রতিটি কক্ষের ভিতরে জায়গা খুবই কম। বিগত ৫৫ বছরে এখানে মাত্র একটি একতলা ভবন নির্মাণ হয়, যেখানে একটি কক্ষে অফিস রুম ও অন্য কক্ষে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা হয়। নতুন ভবনটি ২০০৭ সালে নির্মিত হয় কিন্তু এটার অবস্থাও নাজুক ছিল পরে এটাও কয়েক বার সংস্করণ করার পর মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। এই হল বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন আসছি, তবে স্কুলের বিষয়টা আমি জানি। এখানে ভবন হওয়ার জন্য আমরা এরইমধ্যে তালিকা পাঠিয়েছি। তাছাড়া আগামী জুলাইয়ে ইমার্জেন্সি ফান্ডের মাধ্যমে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত