ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানির পশু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানির পশু

আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি গবাদিপশু পালন করেছেন খামারিরা। এসব কোরবানিযোগ্য পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক লাখ ৩৫ হাজার কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে প্রায় ২ লাখ ৬৯১টি গরু লালন-পালন করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ৫২২টি খামারে প্রায় ১৯ হাজারেরও বেশি পশু পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। জেলাজুড়ে মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬৬ হাজার পশু বেশি রয়েছে।

খামারিরা জানান, কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে পশুগুলোর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন তারা। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ভিটামিন ছাড়াই প্রাকৃতিক ও দানাদার খাবার খাইয়ে পশুগুলোকে পালন করা হচ্ছে। এসব কোরবানিযোগ্য প্রাণিগুলো বেচা-কেনা করা হবে স্থানীয় পশুর হাটগুলোয়। নায্যদামে বিক্রির মাধ্যমে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরএলাকার খামারি এসএম কামাল বলেন, এবারের কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ছোটবড় সবমিলিয়ে ২০টিরও বেশি পশু প্রস্তুত করেছি। তবে গতবারের তুলনায় এবার পশু পালনে খরচ বেড়েছে। তারপরেও নায্যদামে গরুগুলো বেচতে পারলে লাভোবান হওয়া যাবে। শিবগঞ্জ পৌরএলাকার আরেক খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় পশুর হাটের থেকে অন্য জেলার ব্যাপারীরা আমাদের জেলার গরুগুলো খামার থেকেই বেশি কেনেন। তবে বর্তমান সময়ে স্থানীয় হাটগুলোয় অনেকটা আশানুরূপ দামেই কোরবানিপশু বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয় পশুর হাটগুলো এখনও জমে উঠেনি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে জমজমাট বেচাকেনা শুরু হবে।

চাঁপাইনববাগঞ্জের পশুপালন কারিরা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তখনই তারা আশঙ্কায় দিন পার করছে। পশুর হাটগুলোয় ভারতীয় গরুর ঢুকলে লোকসানে পড়বেন তারা। এজন্য চোরাচালানে ভারতীয় গরু কোনভাবেই বাজারে না ঢুকে সেই দাবি জানিয়েছেন তারা। তা না হলে জেলার খামারিদের আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটা প্রায় ‘গুড়ে বালি’ হয়ে যাবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনজের আলম মানিক জানান, ‘এই খাতকে ধরে রাখতে ভালো বাজার ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে। এছাড়া খামার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও গো-খাদ্যের দাম কমানোসহ ভর্তুকি দিলে খামারিরা বিগত দিনের সব সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে। এদিকে, ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং নায্যমূল্য নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ড. গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রত্যাশা- সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি থাকায় প্রতিবেশি দেশ থেকে গরু না আসায় দেশি গরুর খামারিরা এবার ভালো দাম পাবে। এছাড়া উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে এবারও চাহিদার বেশি পশু চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত